ঋষি কাপুর এবং রনবীরের গল্প চয়নের ক্ষেত্রে মারাত্মক লেভেলের সাহিত্যপ্রেম আঁচ করা যায়। সাম্প্রতিক সময়ে এর প্রতিপলন ভালই দেখা যায়। নাহ! সঞ্জয় বায়োপিক নিয়ে বলছিনা, “তামাশা”-র কথা মনে আছে।
102 Not Out হচ্ছে তেমনি এক তামাশা। ভ্রুন নিষিক্ত হওয়ার পর থেকেই আমাদের বয়স বাড়তে থাকে, যদিও আমরা কোরিয়ানদের মত নই জন্মের পর থেকেই গননা শুরু করি। বয়শের সংখ্যা যখন নিতান্ত্য তখন কোন চিন্তা থাকেনা বললেই চলে। সীমা পেরিয়ে গেলেই শুরু হয় যত চিন্তার “বুড়িয়ে যাচ্ছি”। এই বুঝি মরলাম, সাধারন জ্বর হলেও মনে হয় “আমিতো শেষ”।
কিন্তু বাঁচার মানে কি এই, মরনের কথা ভেবে বাঁচতেই ভূলে গেলাম। জীবনে একবারই মৃত্যুগ্রহন করা উচিত। জন্মিলে মরিতে হইবে ইহা চিরন্তন সত্য তাই মৃত্যুর জন্য প্রতিক্ষা করা নিতান্ত্যই বোকামি। মৃত্যু বিষয়টার ব্যাপকপ্রসার লাভ করেছে আমাদের ধর্মগুরুদের মাধ্যমে। মানুষকে মৃত্যু সম্পর্কে যত ভড়কানো যায় পকেটে কড়কড়ে নোটের সংখ্যাটা তত বাড়ে।
বাবা ছেলের মাঝে চমৎকার ডিম্বশুন্য রসায়স সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। অমিতাভ এবং ঋষির অভিনয়ের প্রশংসা করা আর মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করা দুটোই বেহুদা, এতো হওয়ারই কথা।
[imdb]https://www.imdb.com/title/tt6580564/[/imdb]
সেীম্য জোশির লেখা এবং উমেষ শুক্লার পরিচালনায় এ এক অসাধারন চলচিত্র। গল্পের ডায়ালগ আর হাস্যরস আপনাকে স্মরন করিয়ে দিবে আপনি বোধহয় বই পড়ছেন।
আমি সাধারনত অধিকাংশ সিনেমার ক্ষেত্রেই অসাধারন বলি, বোধহয় ভালোগুলোই আমার চোখে পড়ে। একেকটা সিনেমা নানাগুনির মুনির অর্জিত জ্ঞানের সমন্বয়। একটা বই -এর চেয়ে সিনেমা সম্ভবত বেশি কার্যকর। বই পড়লে ইমেজিনেশনের হাত পা গজায়, আর সিনেমা সেই গজানো গাছে ধরা থোকা থোকা পাঁকা রসালো ফল। দেখা মাত্রই গফ করে গিলে ফেলা।
বন্ধু আসিব সেদিন বলতেছিল আমাদের অবস্থা যাবত গঞ্জিকা সেবনকারীদের চেয়ে কম নয় যারা বলে “এই শেষবারের মত, আর চুবো না।” কিন্তু এই শেষ শব্দটা কেন জানি ইনফিনিটি লুফের বর্তমান ইটারেশনের সমাপ্তি ছাড়া আর অন্য কোন দিকে নির্দেশ করে না। আপনাদের জানা আছে কিনা বলবেনতো, মশার স্থলে পিপিলিকা ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দ্বায়িত্ব নিয়েছে তাই আজকের মত টা-টা 🙂
একদিনতো মরেই যাবো 🙂