ghoul (miniseries) Ghoul - দ্বিধা দ্বন্দ্বের সন্ত্রাস

সন্ত্রাস, ত্রাস সৃষ্টিকারী সন্ত্রাস।

মাহবুব আলম

সন্ত্রাস

সন্ত্রাস শব্দটা শুনলেই কেন যেন ত্রাস গিরে ধরে। একটা চাপা ঘৃনা আর দ্বিধা দ্বন্দ্বের কুঁড়ে ঘর। গুগল বলছে, terrorist বা সন্ত্রাস বলতে বুঝায়: সে ব্যাক্তিকে যে রাজনৈতীক স্বার্থ হাসিলে বেআইনিভাবে জনসাধারনের উপর অত্যাচার / নিপিড়ন করে।

Advertisements

একটু আমাদের ইতিহাসের দিকে চোখ ফেরাই, আমাদের স্বাধিকার আন্দোলন কিংবা মুক্তিযুদ্ধ। তৎসময়ের সরকারের চোখে মুক্তিকামী জনগন সন্ত্রাস। আজ আমাদের চোখে সেসময়ের সরকার বা প্রশাসন সন্ত্রাস। এ এক বিশাল দ্বিধা দ্বন্দ্বের আস্তাকুড়। খড়ের গাদায় সুই খোঁজার ন্যায় দিনশেষে কোন কুল-কিনারা খুঁজে পাওয়া ভারি দুষ্কর। নিজের মূল্যবোধকে অগ্রাধিকার দিয়ে এক পাশ বেঁচে নেওয়াই বুদ্বিমানের কাজ। উত্তর খুঁজে না পেয়ে নিজের সাথে প্রবঞ্চনা মাত্র কিন্তু, এতে কি দ্বন্দ্বের সমাপ্তি ঘটে?

সূচনা

এমন একটা দেশ, চারপাশে জঙ্গিবাদের ত্রাস। আজ এখানে বোম ফোটেতো কাল ওখানে। নিরাপত্তার স্বার্থে গঠিন হচ্ছে নতুন আইন, নতুন টাস্কফোর্স। কিছু সন্ত্রাসি আসছে আইনের তরবারির নিছে সাথে সাথে টেনে আনছে কিছু ধর্ম, গোত্র-জাতি এবং কিছু সংস্কৃতি। কিন্তু, সবাইতো সন্ত্রাস নয়? সবেকিছুতো সন্ত্রাসের হাতিয়ার নয়। সন্ত্রাসিদের সাথে সন্ত্রাস নাম করে ফেসে যাচ্ছে কিছু নিরিহ বোবা প্রান। জ্বলে নি:শ্বেষ হচ্ছে কিছু স্মৃতি, নিন্দার মুখে প্রশ্নাতিত নির্বাক নিরিহ কিছু বই।

পরিনয়

এসবের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছোতো মরেছো! নয়া ট্যাগ জুড়বে গায়ে, হাতে পায়ে পড়বে শেকল, নিরপরাধ জেনেও দামাচাপা দিতে কপালে জুটবে বুলেট! সন্ত্রাস নিধনে নব্য সন্ত্রাসের উৎপাত।

ফলাফল

দেশপ্রেমের নব্য সঙ্গায় কবে যে  নিজেই সন্ত্রাস বনে যাবে টেরই পাওয়া যাবেনা।


[imdb]https://www.imdb.com/title/tt5909930/[/imdb]

Ghoul এর গল্প ঠিক এই ধাচেই লেখা।  Ghoul সন্ত্রাস ধমনে নব্য সন্ত্রাস সৃষ্টির গল্প, যেখানে জঙ্গিবাদ দমনের ছলে সৃষ্ট হয় নব্য রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস(নতুন আইন টাস্কফোর্স যাতে নিরিহরা নিষ্পেষিত হয়)। অপরদিকে, নিরিহের মধ্য থেকে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস দমনে তৈরী হয় নব্য সন্ত্রাস যাকে Ghoul চরিত্রের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে।

অভিনয়

রাধিকা আপ্তে বরাবরই ভাল গল্পে কাজ করে। হোক সেটা পার্শ কিংবা মূল চরিত্রে, ছোট পর্দা কিংবা বড় পর্দায় খুব একটা প্রভাবের ধার-ধারে না। যার কারনে সকল ক্ষেত্রেই তাঁর বিচরন দেখবেন। গল্প চয়নের ক্ষেত্রে মেধার চাপ পাওয়া যায় সর্বদাই।

স্পয়লারবিহিন স্পয়লার

সম্পূর্ন সময় জুড়ে চারপাশ ঘিরে থাকবে দ্বিধা দ্বন্দ্ব, অর্থ এবং ভাবের দিক থেকে অসাধারন কনসেপ্ট হররের ঢঙে যা তুলে ধরা হয়েছে তা হররের চেয়েও হরিবল।

সময় করে দেখে নিতে পারেন, অসাধারন। হরর আমি খুব একটা দেখতে পারি না, বিরক্তিকর লাগে। কিন্তু, This is exceptional 🙂

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।