বাইবেল অনুসারে প্রথম থেকে কিছুটা পরে নবীদের চেয়ে রাজ-রাজড়াদের ক্ষমতা বেশি ছিল কিন্তু নবীদেরকে রাজ-রাজড়ারা প্রচুর ভয় পেতো। যেহেতু প্রথমদিকে আল্লাহ নবীদের কথা অনুযায়ী অভিশপ্ত জাতিদের উপর আযাব দিতেন। কিন্তু একটা সময় রাজ-রাজড়ারা নবীদের অমান্য করা শুরু করলো এবং খোদা এমন কাউকে নবী বানালেন যে কিনা রাজ্য তথা ধর্ম দুই সামলাতেই বিজ্ঞ। কিছুটা পারিবারিক প্যারাডিজম চলে আসলো নবীদের পরিবারেই ধর্মের অবমাননাকারী তৈরি হতে শুরু করে।
পরবর্তীতে নবীরা ক্ষমতার ছোট থেকে অনেক স্ট্রাগল করে ক্রমান্বয়ে উপরের দিকে উঠতে থাকেন যদিও বিলাসিতার বদলে এই পর্যায়ে সম্মানই মুখ্য হয়ে দাঁড়ায়। এ পর্যায়ের নবী বা নবী পরিবারের সদস্যদের মাঝে খোদার প্রতি আনুগত্য বেশি দেখা যায়। আমাদের শেষ পয়গম্বর নবী মুহম্মদ (স:) এর পরিবার তথা সাহাবীরা এতই ধর্মভীরু ছিলেন যে আল্লাহ এবং রাষ্ট্রের সামনে নিজেকে জবাবদিহি করে রাখতেন বিশেষ করে চার খলিফা।
সময়ের সাথে ক্ষমতা আবার রাজ-রাজড়াদের হাতে চলে আসে কিন্তু যেহেতু আর নবী আসবেনা তাই সেই রকম মরালীটি বিল্ডআপের দায়িত্ব যাদের উপর তাঁরা কেউ-কেউ ক্ষমতা দখল করে বিলাসিতায় জড়িয়ে পড়ে কেউবা ক্ষমতা ছেড়ে দিনের বানী প্রকাশকে তার প্রধান কাজ ঠিক করে নেয়। দায়িত্বটা এসে পড়ে আমাদের মত ছেঁচড়া, কিছুটা ধর্ম-ভীরু , কিছুটা অর্থ-ভীরু আর কিছুটা ক্ষমতালোভিদের উপর। যার ফলশ্রুতিতে তৈরি সরকার ব্যবস্থা এবং জবাবদিহিতা-বিহীন হঠকারী গণতন্ত্র। কোথাও অগনতান্ত্রিকভাবে সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়ে কিছুটা গণতান্ত্রিক কাজ করে আবার কোন স্থানে গনতান্ত্রিকভাবে সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়ে স্বৈরাচারী কাজ করে।
একটা সময় ধর্মভীরুতা জবাবদিহিতার প্রধান উপকরণ হিসেবে ব্যবহৃত হত যা নবী পরবর্তী সময়ে ন্যায়ের সাম্য নিশ্চিত করতো কিন্তু আজকের দিনে গণতন্ত্র যেমনটা লোক দেখানো, ধর্মভীরুতা ঠিক ততটাই নগণ্য। তাই জবাবদিহিতা এবং তথ্য অধিকার(কাগজে না বাস্তবে) নিশ্চয়তার মধ্য দিয়েই ন্যায়ের সাম্য সংরক্ষণ সম্ভব বলে আমি মনে করি। আর হ্যাঁ আমাদের ক্ষতির জন্য আমরা এবং আমাদের চাটুকার প্রবৃদ্ধি বিশদ অর্থে দায়ী। যতদিন না আমরা পারস্পরিক সম্মান, সহযোগিতা এবং জবাবদিহিতা কার্যকর করতে পারবো ততদিন আমাদের দু:খ ঘুচছেনা সুনিশ্চিত!
Your writing skill develop day by day.Hope, you will reach at your goal soon.
Thank you. You’re so kind 🙂